২০১৭ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সোনাদিয়া দ্বীপের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমি ইকোট্যুরিজম পার্ক গড়ার জন্য গ্রহণ করেছিল, কিন্তু আট বছর পর এবার তা ফেরত পাচ্ছে বন বিভাগ। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপটিকে রক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমি এবার রক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এতে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেজার অধীনে দেওয়া জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেজার পরিচালক শাহীন আক্তার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রকৃতির ক্ষতির পুনরুদ্ধার এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বেজা কর্তৃক প্রাপ্ত সোনাদিয়া দ্বীপের জমিতে নানা ধরনের পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল, যার মধ্যে গাছ কাটা এবং চিংড়ি ঘের নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই কর্মকাণ্ডগুলোর কারণে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। তবে এখন মন্ত্রণালয় দ্বীপটির পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে, সোনাদিয়া দ্বীপের খালগুলো ও শাখা-প্রশাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবাহের পথ সুগম করা হবে। পাশাপাশি বালিয়াড়ি পুনরুদ্ধার এবং বিচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ম্যানগ্রোভসহ অন্যান্য গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কাজও শুরু হবে। এতে সোনাদিয়া দ্বীপের পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং ভবিষ্যতে এটি একটি উদাহরণ হিসেবে দাঁড়াতে পারে।