শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
Headline
চালের দানার চেয়েও ছোট পেসমেকার তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে দুইজন নিহত, ৩৫ জন আহত মুঠোফোন বেজে চললেও কোনো জবাব আসছে না: ভবনের বাইরে উদ্বিগ্ন স্বজনদের অপেক্ষা ঈদুল ফিতরে ঢাকায় গরুর মাংসের বাজার ৩২০ কোটি টাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতার সাময়িক অব্যাহতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন চার প্রসিকিউটরের নিয়োগ তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা ও তার ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে টার্বাইন স্থাপন ‘আওয়ামী লিগ’ নামে দল নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেছেন উজ্জল রায় দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ময়মনসিংহের ‘পূরবী’, রইল শুধু ‘ছায়াবাণী’
/ ৫৫ Time View
Update : শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
পূরবী অর্থ, পূরবী কাব্য কাকে উৎসর্গ করেন, পূরবী কবিতা, পূরবী রাগ, পূরবী কাব্যের বিষয়বস্তু, পূরবী উপন্যাস সিকান্দার আবু জাফর,

ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হলটি এখন ভেঙে ফেলা হচ্ছে, আর এই পরিবর্তনের ফলে শুধু ‘ছায়াবাণী’ সিনেমা হলটি বেঁচে রইল। শহরে একসময় ছিল পাঁচটি সিনেমা হল—অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী এবং সেনা অডিটরিয়াম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই হলগুলোর সংখ্যা কমে যায়, আর এখন শুধু ছায়াবাণী সিনেমা হলটি জীবিত আছে।

পূরবী হলটি দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ শহরের একটি পরিচিত নাম ছিল। স্বাধীনতার পর পর এই হলটির যাত্রা শুরু হয়, এবং প্রথমে এর মালিক ছিলেন জমির উদ্দিন। ২০০২ সালে, ভয়াবহ এক বোমা হামলার পর, এটি কিনে নেন আব্বাস উদ্দিন। এরপর থেকে তিনি হলটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

বর্তমানে, পূরবী হলটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে, এবং এখানে ভবিষ্যতে একটি মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। হলটির ব্যবস্থাপক কাজী দেলোয়ার জানালেন, “গত মাস থেকেই আমরা পূরবী হলটি ভাঙছি। এখানে একটি মার্কেট তৈরি হবে, এবং তার নিচতলায় একটি সিনেপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়িত হতে চার থেকে পাঁচ বছর লাগবে।”

এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়েই কেন এই হলটি ভাঙা হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে কাজী দেলোয়ার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল কোরবানির ঈদের পর হলটি ভাঙা হবে, তবে এখনই ভাঙা শুরু হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র কর্মচারী মালিকই এ সিদ্ধান্তের কারণ জানাতে পারবেন।

২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হল—পূরবী, অজন্তা, অলকা এবং ছায়াবাণী একযোগে হামলার শিকার হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এই হামলাগুলো চালিয়ে ১৭ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়, এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়।

এখন, পূরবী হলের বিদায়ের সময়, ময়মনসিংহের সিনেমা হল সংস্কৃতি একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে শুধুমাত্র ছায়াবাণী সিনেমা হলটি দাঁড়িয়ে আছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Total Post : 34