
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাস এবং ছুটির টাকা পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে মাওনা ইউনিয়নের সলিং মোড় এলাকায়, মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে খান টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ছিল।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই মাস ধরে বেতন পাইনি। বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য তারা বারবার দাবি জানালেও এখনো তা পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া, তাদের ছুটির টাকা এবং নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বকেয়া রয়েছে। ঈদ বোনাস কবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা চাচ্ছেন তারা। তাদের দাবির পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হলেও তা পূরণ করা হয়নি। বেতন পরিশোধ না হলে তারা সড়ক থেকে সরবেন না। একই কারখানার অপর শ্রমিক নজরুল ইসলাম বলেন, বেতন নিয়ে বারবার কথা বলার পরও কোনো সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ঈদ বোনাসের পরিশোধও সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। এর ফলে, সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো প্রয়োজন।
আরেক শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন এবং নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে এগিয়ে এসেছেন। তাদের দাবি, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই আন্দোলনের প্রতি মনোযোগী হওয়া।
এ বিষয়ে খানের টেক্স লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির জানান, শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক। তাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ২০ মার্চ পর্যন্ত। অথচ তারা আগে থেকেই আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। এছাড়া, ঈদ বোনাসের ব্যাপারে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, কারখানার কয়েকজন সাবেক কর্মী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে অন্য শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিতে প্রভাবিত করছেন। তার দাবি, সাময়িক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কেবল এক মাসের বেতন বাকি রয়েছে, আর শ্রমিকদের আন্দোলন অযৌক্তিক।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের শ্রীপুর সাব জোন ইনচার্জ মো. আবদুল লতিফ জানান, শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার চেষ্টা চলছে।